প্রতিটি সুস্থতা যেন নতুন জীবন দেয়
জেগে জেগে উঠি যেন নবতেজোদীপ্ত হয়ে।
ফসলের মাঠ ভাসে যেন সবুজ বন্যায়
কৃষাণের চোখে চোখে সোনালী স্বপ্ন ফোয়ারা।
প্রতিটি সুস্থতা যেন জাগিয়ে তোলে মনন
নবত্বের ভাবনায় নব দিশায় সাজায়।
যা কিছু ছোঁয়া হয়নি, যে স্বপ্ন দেখা হয়নি
নরম স্পর্শে জাগেনি শিশিরাবৃত অঞ্চল।
লাজে রাঙা ওষ্ঠ মাঝে চুম্বন আঁকা হয়নি।
প্রতিক্ষিত স্বপ্নগুলো আজও হয়নি বোনা।
কচি হাত ধরে ধরে হাঁটিনি চেনা শহর
নতুন প্রাণে দেখবো স্বপ্নের সেই শহর।
ভাস্কোদাগামা কলম্বাস মেগানলেস হয়ে
আবিস্কারের নেশায় উন্মত্ত এক নাবিক।
নতুন পথেই চলা নতুন সারথি নিয়ে
অনন্ত পথিক হয়ে, অনন্তের সাথে ছোটা।।
বারংবার মৃত্যু থেকে বেঁচে ফিরতে চাই
ডুবে যাবার আগে ঝাড়া মেরে উঠতে চাই।
সুন্দর এই পৃথিবী, চাইনা যেতে কোথাও
মিলেমিশে একাকার চারদিকে স্বপ্নাধার।
সকালের মিঠারোদ, কলাপাতা ঘেরা ছায়া
কচি কচি লাউডগা, মাঠভরা সর্ষে হাসি
ঘাসফরিং, চড়ুউ, মাছরাঙা, ঘুঘু, টিয়ে
কাঠবিড়ালি প্রজাপতির নিত্য সুর নাচ।
রংধনু সাতরং রাঙিয়ে দেয় জীবন
কাননে ফুলের বান ভ্রমরা গুঞ্জন তোলে
শিশুর মুখে প্রভুর আহা কি মধুর হাসি
এই বন্দরে নোঙর আজীবন ভালোবাসি।।
২৮ এপ্রিল, ২০২০।। শ্যামলী, ঢাকা।