গল্প একটি বর্ণনামূলক রচনা। এটি গদ্যসাহিত্যের এক সমৃদ্ধ শাখা। কল্পনা বা বাস্তবতার উপাদানে তৈরি কোনও একটি ঘটনা বা ধারাবাহিক সম্পর্কযুক্ত একাধিক ঘটনার লিখিত বা কথিত রূপই হলো গল্প। গল্পে একটি সুনির্দিষ্ট plot বা কাহিনী থাকে, যা চরিত্র, ঘটনা এবং বিভিন্ন পরিস্থিতির মাধ্যমে প্রবর্তিত হয়। মানুষের জীবন, অভিজ্ঞতা, সম্পর্ক এবং সামাজিক পরিস্থিতি নিয়ে লিখিত হয় গল্প। সহজভাবে বলতে গেলে গল্পে এক বা একাধিক চরিত্রের মধ্য দিয়ে কিছু ঘটনা ঘটে, এবং সেই ঘটনা ও চরিত্রের মাধ্যমে একটি বিশেষ বার্তা বা শিক্ষার প্রকাশ ঘটে। গল্প নানা ধরনের হতে পারে, যেমন: ছোটগল্প, বড়গল্প, রূপকথার গল্প, ভৌতিক গল্প, গোয়েন্দা গল্প ইত্যাদি।
গল্পের বৈশিষ্ট্য:
1.ঘটনা বা কাহিনী: গল্পের মূল বিষয় হলো কোন একটি ঘটনা বা কাহিনী যা চলতে থাকে এবং শেষে কোন উপসংহারে পৌঁছায়। ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি শুরু, মধ্যভাগ এবং সমাপ্তি থাকে।
2.চরিত্র: গল্পে এক বা একাধিক চরিত্র থাকে যারা গল্পের ঘটনার অংশগ্রহণকারী। চরিত্রগুলি তাদের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য, চিন্তা, ও আচরণের মাধ্যমে গল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়। গল্পে মানুষ, পশু-পাখি, প্রকৃতি, বা কল্পনার চরিত্র থাকতে পারে। চরিত্রগুলো ঘটনার মধ্য দিয়ে পরিবর্তিত হয়।
3. স্থান ও সময়: গল্পে একটি নির্দিষ্ট স্থান ও সময় থাকে, যেখানে ঘটনাগুলো ঘটে। এটি গল্পের পরিবেশ তৈরি করে, ভৌগলিক স্থান এবং সময়কালকে নির্দেশ করে।
4. শিক্ষা বা বার্তা: গল্পে একটি বিশেষ শিক্ষার বার্তা থাকে, যা পাঠকদের ভাবতে এবং কিছু নতুন শিখতে সাহায্য করে।
5. উদ্দেশ্য: গল্প লেখার উদ্দেশ্য হতে পারে আনন্দ প্রদান, শিক্ষা বা নৈতিক বার্তা পৌঁছানো।
উদাহরণ: একটি ছোট গল্প হতে পারে, যেখানে একটি ছেলে জন্মদিনে বেড়াল উপহার পেলো। সেই বেড়ালের যত্ন, খাবার সংগ্রহ করতে নানা রকম অসুবিধার সম্মুখীন হয় এবং শেষে সে শিখে যে, অন্যদের সাহায্য করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এখানে, গল্পের ঘটনা ছিল জীবের যত্ন ও খাবার সংগ্রহের চেষ্টা, চরিত্র ছিল ছেলে, বড় ভাই, বাবা মা এবং বিড়াল, এবং শিক্ষার বার্তা ছিল জীবে প্রেমের গুরুত্ব। এইভাবে, গল্প পাঠকদের কল্পনায় ভ্রমণের সুযোগ দেয় এবং তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির সাথে পরিচিত করে।