ধন্য আমি, ধন্য জীবন, ধন্য জন্ম-জন্মান্তরের
ধ্রুপদ ধরায় জন্ম এ বাংলার পরশ লভে।
ধমনীতে ধিকধিক জ্বলে সে প্রসন্নগাঁথা রূপ-কথা,
ধবলগিরির পাদদেশে পললে শ্যামলে অপরূপ বেশে।
ধূলিমাখা পথ ধুধু বালুচর, ভালোলাগে সবকিছু তার,
ধঞ্চে, ধনেপাতা, ধানক্ষেত, মাঠ-বন সবুজাভ চারধার।
ধ্যান জ্ঞান এই বাংলার প্রকৃতি মানুষ সব একাকার।
ধনেশ, ধানশালিক, দোয়েল টিয়ার সুরধ্বনিতে মন যাযাবর।
ধরলা, ধলেশ্বরী, ধানসিঁড়ি পদ্মা যমুনায় ধারা বহে স্নিগ্ধ।
ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা বাংলার গৃহ মাঠ প্রান্তর দেখে মুগ্ধ।
ধার্মিক, ধর্মান্ধ মন ধসে পড়ে, মানুষে মানুষের আত্মীক টানে,
ধরেছি ধ্বজা এই বাংলার, ধৃষ্টতা কার তা কেড়ে নেয়ার।
ধৈর্য ধরে থাকি, কষ্ট বুকে চেপে রাখি।
ধড়মড় করে ওঠে দেহ, ধ্বংস করতে চায় যদি কেহ;
ধর হতে দেহ ধূলিতে নামাবো, ধাপ্পাবাজের ধাক্কাও সামলাবো।
ধানাইপানাই বুঝি নাতো, ধূর্ত ধোঁকাবাজ, সাবধান হও আজ।
ধূম্রজাল ছিন্ন হবে, ধ্বান্ত সরে যাবে একদিন
ধনলুব্ধ ধড়িবাজের ধৃষ্টতা ধেয় করেছি, কিন্তু আর না!
ধাওয়া করে মন, ধরার ধূলায় মিশে যাবার আগে
ধপধপে সাদা অন্তর করে যাব, ধড় মাঝে প্রাণ যতক্ষণ পাব।
ধারালো অস্ত্র, ধাতু হাতে প্রতিরোধ করি ধীশক্তি সাথে।
ধিন-তানা-ধিন নাচে মন, ধামাল নৃত্য সাথে
ধূর্ধর মন যায়রে ভেসে পালতোলা তরী বেয়ে।
ধ্রুব বিশ্বাসে ধারণ করেছি তোমায়,
ধ্রুবতারা হয়ে থাকবো এই আকাশে।
ধড়ে ধুনন যতদিন, শোধিব ঋণ
ধীরোদাত্ত বুকে রাখবো যে চিরদিন।।
ধ বর্ণের কাব্য, শ্যামলী, ঢাকা।