বহু বর্ষ আগে ধরণীতে মমতাজে ভালোবেসে
প্রেমের মিনার গড়ে ছিল সম্রাট শাহজাহান।
যমুনা কিনারে বেদি পরে শ্বেত মর্মর পাথরে
শতত প্রেমের মহাসৌধ এক অমর আখ্যান।
দেশ বিদেশের পাথরের গায়ে শৈল্পিক নকশা
অযুত শ্রমিক মিলে মিশে গড়ে তোলে এ ভূবন।
শত শত বর্ষ কোটি কোটি প্রেমিক যুগল চিহ্ন
সেথায় শপথ নেয় তারা হবেনা কভু বিচ্ছিন্ন।
দুচোখে বিষ্ময় মুদ্ধতার পরশ নেয় হৃদয়
ভালোবাসা সুরা পান করে মত্ততায় ঋদ্ধতায়।
তাজমহলের অবয়ব তুলে দিয়ে তোমা হাতে
বলেছি তোমায় সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী বানাবো প্রিয়।
আমার সাম্রাজ্যে আমি যেন সম্রাট তুমি সম্রাজ্ঞী
মানস রাজ্যের সৌধ গড়ি দিয়ে প্রেমের সামগ্রী।
কথা ছিল প্রিয়, একসাথে দেখবো তাজমহল
বুকের ঘরেতে গড়ে দিব সুদৃশ্য মতিমহল।
কণায় কণায় প্রেমস্বর্গ ভাবনা সিন্ধুর ঘর
অমর কবিতা লিখে যাব যেন জীবন সাগর।
ভালোবাসা সৌধ গড়ে তুলে নিঃস্ব রাজারকোষ
বিন্দু বিন্দু প্রেমে লিখে চলি সমৃদ্ধ মানসকোষ।
তাজমহলের সৌধ তলে শুয়ে আছেন দু’জন
যতদিন বাঁচি একসাথে থাকে সুখ মহাজন।
হৃদয়ের তারে বেঁধে রাখি অদৃশ্য এক বন্ধনে
তোমার স্পর্শেই নেচে ওঠে রক্ত কণায় স্পন্দনে।
আমার হৃদয়ে তুমি যেন ভালোবাসার মিনার
কাননে কাননে বেজে ওঠে মিতালী ছন্দ বীণার।
চারধারে তার ফুল পাখি নিয়ত ঝর্ণার গান
পূর্ণিমা আলোয় নেচে ওঠে চারদিকে জয়গান।
ভোরের শিউলি নিশিস্নাত সুরভি ছড়িয়ে যায়
বসন্ত রাতের তারাগুলো মিটিমিটি ডাকে আয়।
অলিন্দে বসেই বর্ষা দেখা কুয়াশা চাদরে শীত
আমরা দু’জন নিশিদিন গাই অনন্তের গীত।।
৭ আগস্ট,২০২০। শ্যামলী, ঢাকা।