দেখেছি যে তাকে সদা হাসি মুখ চেয়ে আছে বরাবর।
সলাজ মুখের কণাগুলি ফোটে গোলাপি আভায় তার।
চুলগুলো তার মসৃণ চিকন কাঁধের উপর পড়ে
গলায় মুখেতে হাওয়ায় ভেসে কত কথা মন ঘরে।
চোখের কোণেতে জ্বলজ্বলে দ্যূতি অব্যক্ত কথার ঘোর
কম্পিত হৃদয়ে থেমে থেমে বাজে ভালোবাসারই ডোর।
খুব কাছে ডাকে কুয়াশার ভোরে, স্নান থেকে উঠা পদ্ম
বুকের ভেতর বসন্ত কোকিল ডেকে ওঠে প্রিয় সদ্য।।
ধ্যান মগ্নতায় ডুবে ডুবে যায় নিমগ্ন সে চেহারায়
ভোরের স্নিগ্ধতা ধুপের ধোঁয়ায় পুজার শান্তি ছড়ায়।
সাগরের ঢেউ বেলাভূমে পড়ে ক্রমে ছুঁয়েছুঁয়ে যায়
মনটা কেমন ছটফট করে তার স্পর্শ আকাঙ্খায়।
বৃষ্টির ধারায় শীতল যেমন তৃষ্ণার্ত প্রকৃতি ধরা
অনিন্দ্য হাসিতে হৃদয় ক্ষয়েছে মরুময় তপ্ত খরা।
অশোক রঙিন হৃদয় জমিন তারই পরশ মাখা
দোলায়িত যেন শ্যামল দৃষ্টিতে দেহের সকল শাখা।
দিনশেষে ক্লান্তি শিশিরে কোমল মুছে নেয় সযতনে
ঝিঝি ডাকা ক্ষণে গৃহ মাঝে একা ডানা মেলে স্মৃতি মনে।
জোনাকির আলো টিমটিম জ্বলে চারধারে চারদিকে
পাখিরা হঠাৎ ডানা ঝাপটায় বিপদের গন্ধ শুকে।
মোহনার পানে জীবন কখন কৃষ্ণা আলয়ে যে থামে
দেহ ভেজা ঘামে স্মৃতি পথে হাঁটে অবসন্নতার খামে।
জীবনের পথ থেমে আছে যেন চোরাবালি চোরাপথে
ধূসরিত সব আলো আঁধারীর বিষন্ন শ্বাসের সাথে।
যৌবন তরঙ্গ দীর্ঘশ্বাসে জরা, ভরা নদী জল হীন
দেনা পাওনার হিসাব নিকাশে কুল কিনারা বিহীন।
দিবসে নিশিতে নিদ্রা জাগরণে আছো তুমি সেই তুমি
রক্তের কণায় শিরায় শিরায় মগ্নতায় শুধু তুমি।।
৩১.৫.২০১৮।। শ্যামলী, ঢাকা। বিবর্ণ গোধূলিতে প্রেম কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া