নদী চলে একে বেঁকে বহুপথ ঘুরে
উৎস থেকে মিলন মোহনার তীরে
সব নদী পায় না যে মিলন ঠিকানা
অন্য স্রোতে মিশে যায় হয়েই অচেনা।
মানবের এ জীবন ঠিকই তেমন
সংসার গৃহ ভূমে নিত্যই ভ্রমণ।
স্বপ্ন সুখ পূর্ণতার হাতছানি দেয়
ব্যর্থতার চোরাবালি কুরে কুরে খায়।
যন্ত্রণায় হতাশায় কেউ মত্ত, বন্দি
ঋদ্ধতার শুদ্ধতার দিনরাত ফন্দি।
আকাশের মেঘকণা যায় উড়ে উড়ে
পাখিসব দিন শেষে আসে নীড়ে ফিরে।
নীড়টাই বুঝি তার নিশ্চিত আশ্রয়
তুমি হীনা ভাসি আমি, নেই পোতাশ্রয়।
পৃথিবীটা ধূসরিত বিবর্ণ মলিন
একা একা ঘুরে ফিরি সারথি বিহীন
যে বিশ্বাস ভেঙে যায় জোড়া লাগে নাতো
আঘাতের ক্ষতচিহ্ন জাগ্রত শতত।
নক্ষত্রের মত তার মাথার উপর
টিপটিপ আলো জ্বলে অন্তর ভেতর।
তবু হাঁটি মগ্নতায় স্পর্শ ব্যাকুলতা
একদিন দেহ জুড়ে স্পষ্ট শীতলতা
অন্ধকারে অন্ধকারে হারিয়ে যাওয়া
নিঃশব্দে অন্তরের প্রস্বাদ খাওয়া।।