সাদা সাদা মেঘগুলো নীল আকাশে চলছে ভেসে অজানায়
প্রজাপতি যুগলের মন ছুঁয়ে ছুটছি তোমার ঠিকানায়।
এই শরতেই তার সাথে হয়েছে মিতালী, কাশ বনে একা;
নীল শাড়ি পড়ে, পরিপাটি বেশে এসেছিল, নিবিড় সে দেখা।
চোখদুটি মুগ্ধ, বাকরুদ্ধ, পরখ করি নির্মল হাসি, চুল,
গুইচিচাঁপা খোপাতে জড়ানো, হৃদয় সুবাসিত চুলবুল।
দোলে কাশফুল গুল্মলতা, ভ্রমরের ডানা, কাজল কালো ভ্রু
দুর্বাঘাসে বসে মুখোমুখি, দু’জনেই আলাপ করেছি শুরু।
কোলে মাথা রেখে শুয়ে থাকা, আঙুলে আঙুলে আলপনা আঁকা
অভূত সুখে দেহ নদীতে, জোয়ারের স্রোতে সুরে সুরে থাকা।
তোমার স্পর্শেই বৃষ্টি নামে, পাহাড়ে সমুদ্রে বনে, বালুচরে
তোমার স্পর্শেই অপেক্ষায় থাকা অভিমানগুলো ঝরে পড়ে।
আবার হবে দেখা এই শরতে সখা, নিমন্ত্রণ এ হৃদয়ে
দিগন্ত সীমায় পাখিরা মিশে যায়, দূর আকাশের গায়ে।
হঠাৎ কখন সন্ধ্যাবেলা, দমকা হাওয়া খোলা জানালায়
ফিরে দেখি সেই মুখ, বসন্ত বাতাস, এ মনের সীমানায়।
ঢেকে গেছে চাঁদ, যেন কৃষ্ণপক্ষ রাত! দুর্নিবার অন্ধকার,
বিরহী মনের যাতনায় নিসঙ্গতা ঘুর্ণিবাকে বারবার।
প্রিয়তমা, মনে পড়ে, কতদিন কাশবনে হারিয়েছি পথ
নীলাকাশ দেখে বলেছি দু’জন, ভেসে যাব হয়ে মেঘ রথ।
ইচ্ছে হলে শান্ত দিঘি জলে, দেখে নিই মুখ-সুখ, নিরিবিলি।
পদ্মপাতা দূর্বাঘাসে, শিশির ভেজানো কোমলতা খুঁজে চলি।
চিন্তাহীন ক্লান্তিহীন চলা, নেই ফেরার তাগাদা, পিছুটান;
আলিঙ্গনে চুম্বনে ভেসে ভেসে নিরুদ্দেশে, প্রিয়ার জয় গান।।
১৩.০৯.২০১৭ ।। শ্যামলী, ঢাকা। বিবর্ণ গোধূলিতে প্রেম কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া