শ্যামল প্রকৃতি : কামরান চৌধুরী

শীত ভোরে শম শয্যা ছেড়ে, শীতল কম্পন দেহ মাঝে
শিউলি তলে শিউলি চলে, শিশির মাখা ফুল তোলে যে;
শর্বরীতে শতধারে পড়েছে শবনম বৃক্ষ পল্লবে
সম্পাবৃত মাঠে শিশির দলে, হাতে মুখে পরশ নিবে।

শশশন বায়ু আসে, শিরশির অনুভূতি দেহ-মনে
শুনি সে শব্দতরঙ্গ মুঠোমুঠো স্নিগ্ধ ফুলেরই সনে।
শিশুর সরল হাসি, শশিমুখী রূপে যেন অপরূপ
শংসা জাগে বুকের মাঝে, বাংলার কী মায়াবী রূপ।

শহর ছেড়ে শান্ত শালবনে, শব্দ-নিশব্দ করে খেলা
শিরিষ শিমুল তলে, শক্তিমান সে শম্ভুনাথের মেলা।
শত্রুবাহু ভেসেছে শরতের আকাশে, শুভ্রতার ফেনা
শনক্ষেতে শশ চলে, শূন্য আঁখি, জানে সেতো ফিরবেনা।
শামুকখোল, শঙ্খচিল, শালিক, শাহচখা গান তোলে
শৌখিন গাছের পাতারা সবুজ শাড়ি যেন গায়ে ফেলে।

শস্য শ্যামল মাঠ, শাপলা শালুকের ঝিল, শান্তি আনে;
শীতলক্ষা, শিবসা, শোলমারিতে শুশুক খেলে কেমনে।
শৈবাল শ্যাওলা শামুক একাকার বদ্ধ জীবন জলে
শঙ্খনাদে চলে যায় শনি, শঙ্কা মনে শিব নাম নিলে।

শেষ থেকে শুরু, শিরদাঁড়া খাড়া, শিস দিয়ে যায় মনে
শাখা প্রশাখা শ্রাবণে তাজা, শিবনেত্র শিখণ্ডের পানে।
শিকড় গেছে মৃত্তিকা মূলে, আবেগ-বেগে শিকল ছেড়ে
শপথে শপথে শঠ, শত্রু নিধন, শত শতাব্দি ধরে।
শিখরে উজ্জ্বল সূর্য দ্যুতি শামিয়ানা নিচে শোভা মতি
শান্তির ধারা উছলে এসে দিয়েছে এই জীবনে গতি।।

‘শ’ বর্ণের কাব্য- ৩ আগষ্ট ২০১৭।।শ্যামলী, ঢাকা।। (শ-দিয়ে ৭১ টি শব্দ আছে এই কবিতায়)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top