যৌবনদীপ্ত চঞ্চল ঝর্ণা, এক মিষ্টি মেয়ে
দুরন্ত উচ্ছ্বল একাকী আপন মনে চলে।
মেয়েটির বড় ইচ্ছে জাগে, কবি চোখ যে দেখবে তাকে।
এক কবিকে বললো ডেকে, দাও না আমায় ছবি এঁকে।
ভাবনায় পড়ে কবি মন, যার আঁখিতে প্রিয় দর্শন
দিন যায়…, রাত যায়…, কবি- ছবি বর্ণনার যাতনায়।
অবশেষে কবি লিখলেন-
সেই আগের মত ভাঁজহীন গ্রিবা
জড়িয়ে আছে কত সুখস্মৃতি সেথা।
সেই মুখে গাম্ভীর্য, কপালে বলিরেখা
মন গৃহ ঘনকালো সন্দেহ মেঘে ঢাকা।
বৈশাখী ঝড়ে হাসি লণ্ডভণ্ডের অপেক্ষায়
সুখ স্বপ্নরা নাজেহাল প্রতারণা ঘৃণায়।
বিতৃষ্ণ জীবন, শিকড় তুলে ফেলতে চায়
তবু অচিন কোনো মায়ায় মন বাঁধা রয়।
চোখে তার, ফেলে আসা দিন, ছিল যে রঙিন
আবির মাখানো আদরে জড়ানো মনটা মলিন।
আহা, সেই সে সুখ পরশ, আজো দেহে মাখা
চুপিচুপি ছাদে পূর্ণিমা রাতে সুখেতে মেশা।
ভোরের হাওয়া দেখলো মন আলোক রেখা
নড়ছে পাতারা, হাতছানি দেয় যে স্মৃতিরা।
ঠোঁট কলমে শব্দ লেখলো কবি ভালোবাসি।
খুঁজে পেলো সে চোখে ভালোবাসা এক চিলতে।
কবি আবিস্কার করে ভোরের স্নিগ্ধ শিশির
রবিস্পর্শে মুছে যাওয়া নিরব অশ্রুকণা।
শ্যামলী, ঢাকা।। ১৩.৩.২০১৮ বিবর্ণ গোধূলিতে প্রেম কাব্যগ্রন্থ থেকে নেয়া