পড়ন্ত বিকেলে আরাম চেয়ারে বসে আত্ম অন্বেষণ
তীর্যক রোদের রশ্মি দৃষ্টি সীমায় আবদ্ধ অনুক্ষণ।
বড় বিচলিত মন, জীবন যৌবন হারালো কখন
শৈশবের দুরন্তপনা, হাসিমুখ বিষন্ন যে এখন।
বয়সের ভারে চোখ মুখ ভাবলেশহীন চিন্তাক্লিষ্ট
সংসারের জালে আটকে জীবনের ইচ্ছেগুলো পিষ্ট।
আহা! জানালায় উঁকি দেয়, কৈশরের প্রেম শিহরণ
বুকের মাঝে সেকি আবেগ ছুটাছুটি করে প্রতিক্ষণ।
সেই তন্দ্রা, বিন্দু, কণিকা, কেয়াÕরা কোথায় অদৃশ্যমান
একে একে পথ পালটে অনন্ত মিলনে অপেক্ষমান।
হারিয়েছে কতমুখ, কৈশরের আনন্দ-ছন্দ রৌদ্রছটা
দুঃস্বপ্নে আঁকা যেন পৃথিবীটা ক্ষণে ক্ষণে হাঁপিয়ে ওঠা।
মাঝে মাঝে জেগে ওঠার সাধ, মস্তিষ্কে আনে তেষ্টা
সময়ের চোরাবালিতে জীবন, বাঁচার প্রাণান্ত চেষ্টা।
বর্ণিল জীবনের স্বাদ না নিয়ে, অবিনশ্বরের গাঁয়
অপূর্ণ কাজ, অপূর্ণসাধ থাক না পড়ে অপূর্ণতায়।
আকাশে বাতাসে লক্ষ কোটি মানুষের কত দীর্ঘশ্বাস
এ বুকের কষ্ট অতৃপ্ত আত্মার আহাজারিতে প্রকাশ।
ঘুমানোর আগে জীবনের লুকানো মুক্তদানায় টান
আদুরে স্পর্শে ধুলো মুছে যত্নেযত্নে বুকেতে অধিষ্ঠান।
দেহের বাগানে ইদুরের কাটাকুটি চলে অবিরত
হঠাৎ শব্দের চিৎকারে আসা ধরায় হয়ে আহত….।।
২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮।।শ্যামলী, ঢাকা।