ভগবান, তুমি যুগে যুগে, অবতার পাঠিয়েছো, এই ধুলির ধরায়
শতকোটি মানুষের তরে আলোর দিশারী করে, পাঠালে যেন কৃষ্ণকে।
ঘনকালো কৃষ্ণবর্ণ দেহ, চোখে ঔজ্জ্বল্য দীপ্তির আভা, মর্মকুটধারী;
কখনো সেতো শিশু দেবতা, কখনো রঙ্গকৌতুকপ্রিয়, আদর্শ প্রেমিক
কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অর্জুনের রথের সারথি, পথ প্রদর্শক, রাজপুত্র।
কখনো কূটনীতিক, বংশী বাদক, নায়ক, কখনো সর্বোচ্চ ঈশ্বর।
ভাদ্রমাসে কৃষ্ণপক্ষ অষ্টমী তিথিতে, ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় এলো কৃষ্ণ
ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার, ভগবদ্গীতার প্রবর্তক রূপে।
বসুদেব-দেবকীর পুত্র হয়ে, অন্ধকার কারাগারে সেতো জন্ম নিলো,
জ্যোতিষ গণনা, দেবকীর অষ্টম সন্তান কংসের মৃত্যুর কারণ।
দৈববাণী শুনে উন্মত্ত কংস, হত্যাযজ্ঞে মাতে; সাধু রক্ষিল কৃষ্ণকে
দুষ্ট দমনে মানব বেশে, ভগবান আসে সত্য সুন্দরের প্রতিষ্ঠায়।
আদর্শ শিক্ষক, পথপ্রদর্শক, জীবনের তরে দিয়েছেন কাজ বাণী
কৃষ্ণের সাতশ স্লোক ন্যায়নিষ্ট পথ চলতে, নিত্য জ্ঞান শক্তি যোগায়।
কৃষ্ণ নাম, লীলা শ্রবণ, কীর্ত্তন, স্মরণ. পদসেবন. অর্চন, বন্দন
দাস্য, সখ্য, আত্মনিবেদন অর্পিত সাধিত হলে সর্বসিদ্ধি লাভ হয়।
সব রং ধরে সেতো, তার লীলা মহিমায় আচ্ছন্ন এ মানব সমাজ
নানা রুপে, গুণে, দর্শনে. ব্যক্তিত্বে তাহারই উপস্থিতি হৃদয়ে মননে।
বিফল হয় না পরমেশ্বরের সেবা, জন্ম জন্মান্তরে সঞ্চিত হয় সে
পূর্ণতা প্রাপ্তি শেষে বর্ধিত হয়ে, ফিরে আসে সেই ফল সাধক জীবনে।
রাধাকৃষ্ণ মূর্তিতে প্রেমিক-প্রেমিকা, পূজারি আধ্যাত্মিক ভক্তি পূজা করে
কৃষ্ণ আলোয় বিশ্বাসী মনে, শতদীপ্তির ফল্গুধারা বাহিত হয় বুকে।।
১৪.০৮.২০১৭ ।। শ্যামলী, ঢাকা ।।