পাহাড় মেঘের মিতালী দেখেছি, কংলাক পাহাড় চূড়ায়
সাজেক ভ্যালীর সুউচ্চ চূড়ায় প্রশান্তির আবেশ ছড়ায়।
লুসাই ত্রিপুরা নৃগোষ্ঠী সেথায় গড়েছে মনোরম আবাস
ভ্রমণ পিয়াসী মানুষ দ্যাখে যে, এ আদিম জীবনের বাস।
কমলা হলুদ-আদা জুমচাষ জীবিকা ও খাদ্যের উৎস
কংলাক ঝর্ণা বাতাসের শব্দ, সেথা প্রাণ চাঞ্চল্য প্রকাশ্য।
সবুজে ঘেরা প্রকৃতিরা যেখানে বড়ই আপন করে রাখে
পাহাড়ে নড়বড়ে কাঠের ঘর, তাদের কষ্টের ছবি আঁকে।
অবাক বিষ্ময়ে মিশে যায় মন, কোন বিশালত্বের ছোঁয়ায়
ঈশ্বর যেন আপন হাতে করে, গড়েছে আপন মহীমায়।
ব্যস্ত জীবনের নেই তড়িঘড়ি, নেই সে যান্ত্রিকতার ছোঁয়া
বড়, বড় শান্ত জীবন এখানে মেঘের আবেশ দিয়ে ধোঁয়া।
খাড়া ঢালু পথ, পাথর-ধূলায় যেন একাকার হয়ে আছে
দুরুদুরু বুক মৃদু পায়ে চলা, হঠাৎ পড়েই যাই পাছে।
নিচু নিচু সহস্র পাহাড় চূড়া উপর থেকে দেখি বিষ্ময়ে
মনের তন্ত্রীতে বেজে ওঠে সুর, প্রাণোচ্ছাসে উঠি গান গেয়ে।
চৌদিকে পাহাড় সবুজ বাগান, মেঘের অকৃত্রিম মিতালী
প্রাণের মাঝে একতারায় সুর গুঞ্জনে সুমধুর গীতালী।
রৌদ্র ঝলমল কখনো বা মেঘ, হরেক রকম তার চিত্র
কুয়াশা চাদরে ঢেকে যায় দেহ, ঢাকে মনগৃহ, যেন মিত্র।
পূর্বে মিজোরাম উত্তরে ত্রিপুরা, সুন্দর সুবেশ জানালায়
বারে বার মন ছুটে চলে যায়, কংলাক পাহাড়ের গায়।।
রাঙামাটি, ২৮.১২.২০১৮ ।