অসুর শক্তির কাছে পরাভূত স্বর্গচ্যুত সব দেবতারা
সেই অশুভ শক্তি প্রতাপ বিনাশে. একত্র মিলিত যে তারা।
তাদের তেজরশ্মিতে আবির্ভূত অসুরবিনাশী দেবী দূর্গা
মহাতেজ আলোয় দূরীভূত অমাবস্যা, শুভশক্তি প্রতিষ্ঠা।
দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন মহালয়া, দূর্গাদেবীর প্রবেশ
পা রাখছেন মা মর্তে, অকাল বোধনে জাগে স্বস্তির শ্বাস।
সুদূর পথ পেড়িয়ে কৈলাস থেকে প্রতিবছর তুমি আসো
শিবের বাড়ি থেকে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী সরস্বতীকে নিয়ে
অমাবস্যা তিথিতে পিতৃপক্ষ, প্রতিপদ তিথিতে দেবীপক্ষ;
চণ্ডীপাঠ, পূজা অর্চনায় সবে দেবীকে আহ্বান করে মর্তে।
ভক্তকণ্ঠে উচ্চারিত শঙ্খধ্বনি সাথে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু,
মার্তৃরূপেন সংস্থিতা, নমস্ত্যৈ নমম্ত্যৈ নমস্ত্যৈ নমোঃ নমঃ’।
আবির ছড়িয়ে, সুরভি বিলিয়ে মনোবাঞ্চা করো পূর্ণ
খুশির আনন্দ ছুঁয়ে দাও ঘরে ঘরে, সবারই দেহ মনে।
মহাশক্তির পূজার তিথি, বাদ্য বেজে ওঠে সারাদেশ কোণে
যেখানে অশুভ শক্তির বিস্তার, সেখানেই শক্তির উত্থান।
দেবীর আগমনে প্রতিক্ষার অবসান, অশান্ত যত মন
জাগবে দশভুজা, পূজারীকে আশীর্বাদে করবে আজ শান্ত।
উৎসব আমেজ ছড়িয়ে দিবে সব মানব হৃদয় ঘরে
দুঃখ মুছে, নিয়ে যাবে তুমি, আনন্দ সুখ দিবে বুকে ঢেলে।।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭।। শ্যামলী, ঢাকা।