কন্টেন্ট কি? কন্টেন্ট এর প্রকারভেদ : কামরান চৌধুরী

কন্টেন্ট হলো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু তথ্যসহ তুলে ধরার মাধ্যম বা প্রক্রিয়া। কোন বিষয়ের উপর তথ্য বা উপাত্তই কন্টেন্ট। যে কোনো তথ্যপূর্ণ আর্টিকেল, অডিও ভিডিও, গ্রাফিক্স এনিমেশনকে  কন্টেন্ট বলা যায়। যেমন কোনো হাতের লেখা, ছাপানো কাগজ, ভিডিও বা চলমান ছবি, অডিও বা শব্দযোগ, গ্রাফিক্স বা নকশা, ডিজাইন বা আঁকা, আলোকচিত্র, ছায়াছবি, দলিল, এনিমেশন বা ইনফো গ্রাফিক্স ইত্যাদি দিয়ে কোন তথ্যপূর্ণ বিষয়কে ফুটিয়ে তোলা।

কন্টেন্ট অনেক ধরণের হতে পারে- টেক্সট বা লিখিত, ইমেজ বা ছবি, ভিডিও ও এনিমেশন, ভয়েস কন্টেন্ট, ডকস ফাইল ইত্যাদি। কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর বিভিন্ন ধরণের তথ্য একত্র করে, বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে পাঠক বা দর্শকের বোঝার উপযোগী করে তৈরি করা হয়। বইয়ের গল্প, নাটক, সিনেমা, খবর, বিজ্ঞাপন, গান—এ সবগুলোই হচ্ছে কনটেন্ট।    

কোনো ওয়েবসাইট বা ইউটিউবে প্রবেশ করলে আমাদের সামনে যা কিছু স্কিনে আসে তার প্রত্যেকটিই কিন্তু কনটেন্ট। কেউ না কেউ  এসব কনটেন্ট তৈরি করেছে বিধায়ই আমরা দেখতে পারছি। সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কিছু লিখে সার্চ দিলে যা দৃশ্যমান হয় সবই কনটেন্ট। যেকোন ওয়েবসাইটের সবচেয়ে বড় সম্পদ তথ্যপূর্ণ কন্টেন্ট। যার জন্য ভিজিটর ওয়েবসাইটে বারবার আসে ও সার্চ করে।  

কোন কাজের উদ্দেশ্যে আমরা বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করি। সেটা হতে পারে কোনো কিছু মার্কেটিং বা কোনো প্রোডাক্ট প্রমোশনের জন্য কন্টেন্ট তৈরি। যা বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে ছবি বা ভিডিও কন্টেন্ট। আবার ডিজিটাল মার্কেটিং করার জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়, যা ক্রেতার কাছে বোধগম্য হয়। ক্রেতা খুব সহজেই কোন কন্টেন্ট দেখেই বুঝতে পারে, কি উদ্দেশ্যে এটি তৈরি হয়েছে।

কন্টেন্টের প্রকারভেদ:- কয়েক ধরণের কন্টেন্ট রয়েছে। যেগুলো হলো-

১. টেক্সট বা লিখিত কন্টেন্ট

২. ইমেজ বা ছবি কন্টেন্ট

৩. ভিডিও ও এনিমেশন কন্টেন্ট

৪. অডিও ভয়েস কন্টেন্ট

৫. ডক্স ফাইল

টেক্সট বা লিখিত কন্টেন্ট: টেক্সট বা লিখিত কন্টেন্ট বলতে বুঝায় ডিজিটাল মাধ্যমে কোন বিষয়ে যা লিখা হয় বা লিখিতভাবে কোন তথ্য প্রকাশ করা হয়। যেমন- নিবন্ধ, ব্লগ পোস্ট, প্রকাশিত সংবাদপত্র, পণ্য বা সেবার তালিকা ও বর্ণনা, পণ্যের মূল্যায়ন, নির্দিষ্ট বর্ণনা ও রিপোর্ট, ই-বুক, শ্বেতপত্র ইত্যাদি।

ইমেজ বা ছবি কন্টেন্ট: বিভিন্ন চিত্র আকারে প্রকাশিত তথ্য। সকল ধরনের ছবি- সেটা ক্যামেরায় তোলা ফটো, হাতে আঁকা বা কম্পিউটারের সফটওয়ারের মাধ্যমে তৈরি গ্রাফিক্স ছবি, এনিমেটেড করা ছবি এই ধরণের কন্টেন্ট বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকি। এর মধ্যে রয়েছে ফটো, হাতে আঁকা ছবি, অঙ্কনকরণ, কার্টুন, ইনফো-গ্রাফিক্স, এনিমেটেড ছবি ইত্যাদি।

ভিডিও এনিমেশন কন্টেন্ট: ক্যামেরা বা মোবাইল দিয়ে তোলা ভিডিও, লাইভ ভিডিও। বর্তমানে মোবাইল ফোনেও ভিডিও ব্যবস্থা থাকায় ভিডিও কনটেন্টের পরিমাণ বাড়ছে। ডিজিটাল বিশ্বে বিভিন্ন ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম গুলো জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে লাইভ ভিডিও এবং ভিডিও স্ট্রিমিং করা হয়। এছাড়াও এনিমেশন টাইপ ভিডিও করা হয়।

অডিও কন্টেন্ট: শব্দ বা অডিও আকারের সকল কনটেন্ট এর আওতাভূক্ত। মানুষের নিজের মুখে ভাষা প্রকাশ করার মাধ্যমই হচ্ছে অডিও কন্টেন্ট। কোন কাজের উদ্দেশ্যে অডিও আকারে তৈরি করা হয়। মূলত রেকর্ড করা অডিও ফাইল অডিও কন্টেন্ট অন্তর্ভুক্ত। পাশাপাশি ইন্টারনেটে প্রচারিত ব্রডকাস্ট অডিও কনটেন্টের অন্তর্ভুক্ত।

ডক্স ফাইল :

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top